ঢাকা মেডিকেল কলেজকে নতুন আঙিকে নির্মাণের পরিকল্পনা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ভেঙে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে বড় পরিসরে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অত্যাধুনিক ও আরও বড় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভবন অনেক পুরনো। সেখানে রোগীর অনেক চাপ। সেখানে আধুনিক বিল্ডিং করে দেয়া হবে, যেন চার থেকে পাঁচ হাজার রোগীকে একসঙ্গে সেবা দেয়া যায়।

বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল ছাড়াও রাজধানীর চার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ও অত্যাধুনিক নকশায় এসব স্থাপনা নতুন করে নির্মিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শাহবাগ থেকে ঢামেক পর্যন্ত নান্দনিক সৌন্দর্য আসবে।

নতুন করে এসব স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, আধুনিক সুবিধা সংবলিত ও নান্দনিক সৌন্দর্যের হবে। এরই মধ্যে পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে টিএসসি। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন প্রতিষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল চার থেকে পাঁচ হাজার। এখন শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সংখ্যা ৪০ হাজারের ওপরে। টিএসসির সুযোগ-সুবিধা এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অপ্রতুল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিএসসিকে আরও বড় ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত করে দেয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো, সবাই যেন আরও বেশি খোলামেলা পরিবেশে কাজ করতে পারে। কয়েকগুণ বড় ও অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বড় অডিটোরিয়াম, বড় ক্যাফেটেরিয়া করা হবে বলেও তিনি জানান।

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘর এবং পাবলিক লাইব্রেরি পুরো এলাকাকে একই বাউন্ডারির মধ্যে নিয়ে আসা হবে। এখানে আরও বড় পরিসরে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

উন্নয়ন কাজগুলোর সুবিধার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো করা হলে এ এলাকার নান্দনিক সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। মানুষ সার্বিকভাবে এর মাধ্যমে লাভবান হবে।

টিএসসিতে মেট্রোরেলের স্টেশন করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হবে এমন কিছু করবে না সরকার।

তিনি বলেন, টিএসসি এলাকায় যে প্লাটফর্ম হবে তা অনেক বড় করে গড়া হবে। যেন একসঙ্গে অনেক ছাত্রছাত্রী এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পারাপারের সুবিধা ও বইমেলার কথা চিন্তা করে বাংলা একাডেমির সামনে একটি বড় আধুনিক আন্ডারপাস করা হবে বলেও জানান তিনি।

রাজধানীকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো ঢাকাকে মেট্রোরেলের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। কোথাও আন্ডারগ্রাউন্ড, কোথাও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করা হবে। ঢাকাবাসীকে সুখবর দিতে চাই, চারপাশে এলিভেটেড সার্কুলার রোড করে দেয়া হবে।

SHARE