হাসপাতালের খাবারে গাঁজার তৈরি মেন্যু!

সালাদ থেকে শুরু করে স্যুপ, সবকিছুতেই গাঁজা দিয়ে অভিনব এক রেসিপি তৈরি করে রীতিমতো চমকের সৃষ্টি করেছে থাইল্যন্ডের একটি হাসপাতালের রেস্তোঁরা। গাঁজা দিয়ে তৈরি নতুন ধরনের এ মেন্যুর স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতাও।

গাঁজা পাতা দিয়ে তৈরি খাবারটি সামান্য তিতা হলেও চমৎকার বলে দাবিই হাসপাতালের রেস্টুরেন্টটিতে খেতে আসা ব্যক্তিদের।

২০১৮ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজা বৈধ করে প্রথম দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ থাইল্যান্ড। এরপর দেশটি গাঁজা উত্তোলন, পাতন এবং বিপণনে বেশ এগিয়ে গেছে এবং বহু বিলিয়ন ডলারের শিল্পকে পুঁজি করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি দেশটির মাদকদ্রব্যের তালিকা থেকে গাঁজা তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত সরবরাহকারীরা হাসপাতালগুলোর মতো এখন খাবারে গাঁজার পাতা, ডান্ডা এবং শিকড় ব্যবহার করতে পারে।

থাই ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড হারবাল মেডিসিনের কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক পাকক্রং কোয়ানখাও মনে করছেন এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের সাবেকি রন্ধনরীতিতে ফিরে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, খাবারে গাঁজার পাতা যোগ করা আমাদের সংস্কৃতি। অতীতে গাঁজা নিষিদ্ধ হওয়ার আগে আমরা মৌসুমী ভেষজগুলিকে স্বল্প পরিমাণে রেখেছিলাম এবং আমরা এটি ভেষজ প্রতিকার হিসেবেও ব্যবহার করে থাকি।

গত সপ্তাহে, হাসপাতালের সুস্থতা কেন্দ্রের একটি রেস্তোঁরা থাই খাবারের একটি নতুন মেনু প্রবর্তন করেছে যাতে রয়েছে গাঁজার বিভিন্ন উপাদান। তবে অতিরিক্ত খরচ এড়াতে রেস্তোঁরাটি গ্রাহক প্রতি পাঁচটি পাতার বেশি দেয় না, বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, যদি গ্রাহকদের মধ্যে সহনশীলতা কম থাকে তবে তারা কেবলমাত্র আধ পাতা দিয়ে তৈরি মেনু বেছে নিতে পারেন। তবে সতর্ক করে বলেন, যারা গর্ভবতী বা কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় আছেন তাদের এ ধরনের মেনু এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

পাকক্রং কোয়ানখাও আরও বলেন, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ভেষজ অল্প পরিমাণে মেজাজ, মনোনিবেশ এবং সৃজনশীলতাও উন্নতও করে।

SHARE