রূপান্তর ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল। ঠিক কবে নাগাদ আসরটি মাঠে গড়াবে তা অনিশ্চিত। এমন অবস্থায় ভারতীয় ঘোরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসরটি আয়োজন করতে চায় শ্রীলঙ্কা। বিসিসিআইয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। সে হিসেবে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম শ্রীলঙ্কায়। দ্বীপদেশটিতে মাত্র ২৩৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত।
দ্রুত শ্রীলঙ্কায় করোনা মুক্ত হবে বলে মনে করেছেন দেশটির ক্রিকেটের প্রধান শাম্মি সিলভা। তাঁর আশা দ্রুতই স্বাভাবিক হবে দেশের পরিস্থিতি। তা হলে শ্রীলঙ্কায় আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শাম্মি সিলভা বলেন, ‘মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাস থেকে ভারতের আগে শ্রীলঙ্কা মুক্তি পাবে। যদি তা হয়, টুর্নামেন্টটি (আইপিএল) আমাদের দেশে আয়োজন করা যেতে পারে। শিগগিরই আমরা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।’
সূচি অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের জানিয়েছে, স্থগিত হলেও বাতিল হচ্ছে না আইপিএলের ত্রয়োদশ আসর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আয়োজন হবে জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্টটি।
সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে। একই অবস্থা ভারতেও। দেশটিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এ ঘোষণা আসার পরই আইপিএলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যায়।
পিটিআইকে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের কর্মকর্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, বিসিসিআই ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ব্রডকাস্টারদের জানিয়েছে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হচ্ছে। তবে তারা আশা যাচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চলতি বছরের শেষ দিকে আইপিএল আয়োজন হবে।’
এদিকে আপতত আইপিএলকে ভুলে যেতে বলছেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। দেখি কী হয়। এর বাইরে আর কী বলতে পারি! বিমানবন্দর বন্ধ, লোকজন ঘরে বন্দী। কেউ কোথাও যেতে পারছে না। সম্ভবত মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে। এখন খেলোয়াড়রা আসবে কীভাবে। এই মুহূর্তে বিশ্বের কোথাও কোনো খেলা হচ্ছে না, তাই আপাতত আইপিএল ভুলে যান।’