রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরও দেড় দশক ক্ষমতায় থাকছেন। তিনি এমন এক আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত তার ক্ষমতায় থাকার পথ পাকাপোক্ত হয়েছে। এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নতুন আইন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছয় বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও দুবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন পুতিন। ৬৮ বছর বয়সী এই নেতার ৮৩ বছর পর্যন্ত ক্ষমতার মসনদে থাকার পথ সুগম হলো। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার এবং এ নিয়ে মোট চারবার এই পদে পুতিন। এর আগে একবার প্রধানমন্ত্রী পদেও ছিলেন সাবেক কেজিবি প্রধান পুতিন।
গত বছর গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানে সংশোধনী আনা হয়। সমালোচকরা ওই সংশোধনীকে ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
পুতিনের স্বাক্ষর করা নতুন আইনে কেৌশলী অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে কেউ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দুবারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। কিন্তু এই আইনে পুতিনের বর্তমান ও আগের মেয়াদ ধর্তব্য হবে না। এ ছাড়া বিদেশি নাগরিকত্ব থাকা কেউ প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে পারবেন না বলে শর্ত যুক্ত করা হয়েছে নতুন আইনে।
২০০০ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার বর্তমান মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। নতুন বিলে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে এখন তিনি ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ক্ষমতায় থাকার পথ চূড়ান্ত করলেন। কারণ রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী কেউ টিকে থাকতে পারে না। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই শাসক সমালোচকদের নানাভাবে নাজেহাল করেন। তার সমালোচক নাভালনিকে জেল দিয়েছেন।
নতুন বিলে পরবর্তীতে যারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে চান তাদের জন্য বিলটিতে কয়েকটি অতিরিক্ত যোগ্যতাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বয়স নূন্যতম ৩৫ বছর হতে হবে। রাশিয়ায় জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং অন্তত ২৫ বছর দেশটিতে বসবাসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অবশ্যই একমাত্র রুশ নাগরিক হতে হবে।
আর যারা রাশিয়ার পাশাপাশি অন্য কোনও দেশের নাগরিক অথবা বিদেশে অনুমতি নিয়ে বৈধভাবে বসবাস করছেন, তারা প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আবেদন করতে পারবে না।