ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন তিনি। ৩ এপ্রিল নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন রাব্বানী। সেখানে তিনি জীবন নিয়ে শঙ্কার কথাও লেখেন।
রাব্বানীর আবেগী ফেসবুক পোস্ট মন ছুয়ে গেছে অনেকের।
রাব্বানী তার ফেসবুকে লেখেন, ‘জ্বর, সর্দি-কাশি আর শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে গত দুদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট আর বুকে চাপ অনুভব করছি। গতরাতে কিছু সময়ের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারও ব্যবহার করতে হয়েছে। যদি কিছু হয়ে যায়, যদি অকালে চলে যেতে হয়… এই আফসোস, হতাশা আর মনোকষ্ট নিয়েই যেতে হবে…।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে স্টার জলসায় শুরু হয়েছিল ‘কে আপন কে পর’ সিরিয়ালের প্রচার। এতে ‘জবা’ চরিত্রে অভিনয় করে দুই বাংলায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন পল্লবী। তার পিসির (ফুফা) ছিলেন একজন অভিনেতা। পল্লবীর সঙ্গে যেতেন বিভিন্ন স্টুডিওতে। সেখান থেকেই পরিচয় একাধিক পরিচালকের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমেই ‘কে আপন কে পর’ সিরিয়ালের প্রস্তাব পান পল্লবী। এই অভিনেত্রীর হৃদয় ছুয়ে গেছে রাব্বানীর পোস্ট।
যে আদর্শ আর দলের জন্য এত ত্যাগ, জীবন-যৌবন, ক্যারিয়ার, স্বাধ-আহলাদ সব জলাঞ্জলি দিয়ে ইতিবাচক কাজ করতে চাইলাম, সেই দলেরই স্বার্থান্বেষী মহলের কাছ থেকেই মিথ্যা অপবাদ আর চরম অন্যায় আচরণের শিকার হলাম! আত্মপক্ষ সমর্থন, সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই, তদন্ত এসবের ন্যূনতম সুযোগও মিলল নাহ, যা যেকোনো মানুষেরই প্রাপ্য অধিকার।
একজন প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ ভিসিকে রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন ও এর শীর্ষ নেতৃত্বকে মিথ্যা অভিযোগে কলঙ্কিত করা হলো। যার বিরুদ্ধে সকল তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কোনো তদন্ত হলো না, বিচার হলো না! শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, দুদক সব দেখে, জেনে বুঝেও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া ‘জিরো একশন টু করাপশন’ নীতি অনুসরণ করল!
বেঁচে থাকলে নিজেই প্রমাণ করব ইনশাআল্লাহ আর যদি মারা যাই, তাহলে শেষ ইচ্ছে ও চাওয়া থাকবে, দেশ ও জনগণের টাকা পুকুরচুরি করে আমাদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া জাবি ভিসি যেন কোনোভাবেই পার না পায়, জাতির সামনে যেন সত্যটা উন্মোচিত হয়, জোরপূর্বক থামিয়ে দেয়া দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন যেন ফের শুরু হয়! ইউজিসি আর দুদকের যেন বিবেকবোধ জাগ্রত হয়! প্রাণের প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগ যেন কলঙ্কমুক্ত হয়।’