লাসিথ মালিঙ্গার গতিতে প্রাথমিক বিপর্যয়ে ইংল্যান্ড। দুই ওভারে ২ ওপেনারের উইকেট তুলে নিয়েছেন মালিঙ্গ। ৬.৫ ওভারে জনি বেয়ারস্টো এবং জেমস ভিন্সের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপের মধ্যে পড়ে যায় বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন লাসিথ মালিঙ্গা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় দলে ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মালিঙ্গা। গোল্ডেন ডাক হয়ে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো।
শ্রীলংকা ২৩২/৯
সেমিফাইনালে যেতে হলে জয়ের বিকল্প নেই। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩২ রানের বেশি করতে পারেনি ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচে আড়াইশ রান করতে পারেনি লংকানরা। শুক্রবার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের একার লড়াইয়ের পরও ২৩২ রানে ইনিংস গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ বলে ৮৫ রান করেন ম্যাথিউস।
আজ শ্রীলংকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে চায় ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা শুক্রবারের আগে পাঁচ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় পজিশনে আছে। অন্যদিকে শ্রীলংকা ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্টি নিয়ে ছয়ে আছে।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের হেডিংলি লিডসে বিশ্বকাপের ২৭তম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় শ্রীলংকা। দলীয় ২.২ ওভারে মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল পেরেরার উইকেট হারিয়ে চাপের পড়ে যায় লংকানরা।
তৃতীয় উইকেটে কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে দলকে খেলায় ফেরান অভিষেক ফার্নান্দো। ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তারা।
৫৯ রানের জুটি গড়েন ফার্নান্দো ও মেন্ডিস। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটির পথেই ছিলেন ফার্নান্দো। কিন্তু মার্ক উডের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৩৯ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ রান করেন ফার্নান্দো।
এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও কুশল মেন্ডিস দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যান। ইংলিশ পেসারদের চাপ এড়িয়ে অনবদ্য ব্যাটিং করেন তারা। চতুর্থ উইকেটে তাড়া গড়েন ৭১ রানের জুটি।
এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। আদিল রশিদের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন কুশল মেন্ডিস ও জীবন মেন্ডিস। ৬৮ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন কুশল। রানের খাতা খুলার সময় পাননি জীবন মেন্ডিস।
এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে জুটি বেধে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৪৭ বলে ২৯ রান করে ফেরেন সিলভা। তার বিদায়ের পর মাত্র ২ রান করে ফেরেন থিসেরা পেরেরা।
তবে অফ ফর্মে থেকে ছন্দে ফিরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই অফ ফর্মে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো। সবশেষ তিন ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ৯ রান। প্রথম দুই ম্যাচে ডাক পেয়েছেন তিনি।
তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুক্রবার দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন শ্রীলংকার সাবেক এই অধিনায়ক। তার ব্যাটে ভর করে ২৩২ রান তুলতে সক্ষম হয় লংকানরা।
১৩তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ১১৫ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন ম্যাথিউস। মূলত তার দায়িত্বশীলতায় দুইশো পেরিয়ে ২৩২ রান তুলতে সক্ষম হয় শ্রীলংকা।