রূপান্তর রিপোর্ট: ভোটকেন্দ্রের বাইরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যেভাবে বসে আছে তা দেখে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। তিনি বলেন, দলবল দেখে ভোটাররা আসতে চাচ্ছেন না। ওরা যেভাবে ভোটকেন্দ্রে মহড়া দিচ্ছে তাতে অনেকে ভয় পেয়েছে, প্রভাবিত হয়েছে। প্রথম ৫ ঘণ্টায় আমি কেন্দ্রগুলোতে দেখেছি ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি।
শনিবার দুপুরে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের ফাঁকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নেয়ার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টা করছে। তাদের সব জায়গায় একই ধরণের পলিসি। বাইরে বিশাল মানুষের ভিড় করে রাখে। আর ভিতরে মোটামুটি গেট বন্ধ। ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। যারাও ঢুকছে তারাও ইভিএমের বিড়ম্বনার কারণে ভোট দিতে পারছেন না। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে না আসে সেজন্য আ’লীগ ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে।
তাবিথ বলেন, ভোটার উপস্থিতি কমিয়ে রাখা আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার অংশ। আমাদেরকে ভোটের মাঠ থেকে বের করে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রিসাইডিং অফিসাররাও যত আইন, যত আমলাতান্ত্রি জটিলতা আমার সামনে বলার চেষ্টা করছেন, আমরা এমন প্রতিকূল পরিবেশও মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে, আমি যতটুকু পারছি ততটুকু করছি। আবার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে, আমি আবার ঢুকাচ্ছি। ইলেকশনের মাঠে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে যতটুকু সম্ভব ততটুকু থাকছি।
তাবিথ বলেন, একদিকে ইভিএমের প্রক্রিয়াটা অনেক স্লো, অনেকগুলো ব্রেকডাউন (অকেজো) হয়ে গেছে। আমার মা-ও এ বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এসব কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আপনাদের সাংবাদিকরাই আমাকে জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ভোট দিতে পারেননি। ‘অন্য পদ্ধতিতে’ ভোট দেয়ার প্রক্রিয়াই প্রশ্নবিদ্ধ। এখানেই ইভিএমের মূল কারসাজি।