পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের টার্গেট করে ভিডিও কলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে
ব্ল্যামেইল করতো রাফসান চৌধুরী তানভীর নামে এক যুবক। হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা। একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেও ব্ল্যাকমেইল করতো রাফসান। সম্প্রতি এই প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নারীদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাল পেতে সর্বনাশের পথে টেনে এনেছেন একাধিক নারীকে।
প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলে ফেসবুক অনেক পেজ খুলেছেন। সেই প্রশ্ন কেনার ফাঁদে যারা পা দেন তারাই হয়ে ওঠে রাফসানের প্রতারণার লক্ষ্যবস্তু। নানাভাবে ভুলিয়ে নারীদের ভিডিও কলে নিয়ে এসে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। ঢাকার এক স্কুলশিক্ষিকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নারী কর্মকর্তাও তার হাত থেকে পার পাননি।
প্রতারণার শিকার এক নারী বলেন, প্রথমে রাফসান আমাকে ফেসবুকে নক করে। ফটোশুটের জন্য নাকি তাদের কিছু মেয়ে লাগবে। তারপর সে আমাকে ভিডিও কল দেয়। ভিডিও কলে কথা হওয়ার তারপর সে আমার বিকাশ নম্বর নেয়। এরপর সে আমাকে বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে।
দীর্ঘদিন অভিযানের পর রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৬ সাল থেকে জালিয়াতিতে জড়িত রাফসান এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিলো দুইবার। জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও জড়ায় একই অপরাধে।
অভিযুক্ত রাফসান বলেন, মেয়েটার সঙ্গে আমার ভিডিও কলে কথা হয়। আমি ওর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলি। আমি ওইটার স্ক্রিন ভিডিও রাখি।
গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, সে অত্যন্ত চতুর ব্যক্তি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের নাম করে অথবা ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দেশের বিভিন্ন জায়গার শত শত মানুষ থেকে টাকা নিয়েছে। কাউকে আবার যৌন হয়রানিও করেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে ভিডিও কলসহ যোগাযোগে সবাইকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।