পরিবারকে সময় দিতে অবসরে গেলেন শোয়েব মালিক!

বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে আর ব্যাট-বল নিয়ে আর আর্ন্তজাতিক ম্যাচ খেলছেন না এমন বেশ কয়েকজন রয়েছেন।

ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল ইতিমধ্যে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আর মাঠে দৌড়াতে দেখা যাবে না ইমরান তাহিরকে। দেশে ফিরে অবসরের ঘোষণা আসতে পারে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফির পক্ষ থেকেও।

সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিও অবসরের ইঙ্গিতই দিচ্ছেন। এদিকে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে বসলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।

গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

তবে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও পাকিস্তানের হয়ে আরও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান মালিক। আগামী ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন এই পাক স্পিনার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে শোয়েব মালিক বলেন, বিশ্বকাপ শেষে অবসরে যাব সে কথা আগেই বলেছিলাম। এটা আমার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল যে, বিশ্বকাপ দিয়েই খেলা ছাড়ব।

অবসরে যাওয়ার অনুভূতি প্রসঙ্গে শোয়েব মালিক বলেন, এটা আসলেই কষ্টের। ক্রিকেটের যে ফরম্যাটকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম তা ছেড়ে দিতে অনেক কষ্ট অনুভব করছি।

কিন্তু এমন কথা বলার সময়ও তার মুখে হাসি লেগেই ছিল। তিনি বলেন, একদিক থেকে আবার খুশিও হয়েছি। কারণ এখন আমি আমার পরিবারকে অনেক বেশি সময় দিতে পারব।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ অক্টোবরে শোয়েব-সানিয়ার ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে ছেলে ইজহান।

অবসরে যাওয়ার পর ছেলের দেখভালে সময় দেবেন বলে জানান শোয়েব মালিক।

তাছাড়া এই অবসর তাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগী হতে সাহায্য করবে বলেও মনে করেন এই সাবেক পাক অধিনায়ক।

ক্যারিয়ারের ভাটার সময়েই অবসরের ঘোষণা এলো শোয়েব মালিকের। এবারের বিশ্বকাপে মাত্র ৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দুইবারই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। বল হাতে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ১টি।

এক সময় শোয়েব মালিক ছাড়া পাকিস্তান দল কল্পনাতীত ছিল। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ২৮৭ ম্যাচ খেলে ৭৫৩৪ রান ও ১৫৮ উইকেট রেকর্ড খাতায় জমা করেছেন তিনি।

বিদায়ী বার্তায় শোয়েব মালিক সতীর্থ ও দেশের ক্রিকেটভক্তদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

SHARE