ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপির সামনে ৪ চ্যালেঞ্জ

বিএনপি প্রার্থী ইশরাকের বাসায় যান ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। ছবি: সংগৃহীত

তাইয়্যিপ আহসান রাফান: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একবছর পর ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারির লড়াই হবে স্বাভাবিকভাবেই নৌকা আর ধানের শীষ প্রার্থীর মাঝে। মানুষের মাঝে এখন কৌতুহল আর প্রশ্ন – ‘সুষ্ঠু ভোট হবে তো?’। নাকি ফিরে আসবে তিক্ত অভিজ্ঞতা।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে শেষ মুহূর্তের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত বিএনপি। ধানের শীষের জয়ের লক্ষ্যে নানা কৌশল ও তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

তাদের মতে, ভোটে জিততে হলে অন্তত চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে- ভোটের দিন প্রতিটি বুথে পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, নেতাকর্মীদের মাঠে থাকা, ভোটারদের কেন্দ্রে আনা এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকা। এসব মোকাবেলা করতে পারলে ধানের শীষের জয় অসম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

দুই সিটিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় একাধিকবার হামলা হয়েছে।

বিএনপির দাবি, সরকারি দলের ভয়ভীতি, হামলার মধ্যেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বলছেন, বিএনপির প্রার্থীরা নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষ করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ ছাপাচ্ছে।

নির্বাচনী মাঠে ৪ প্রার্থীর সমীকরণ

দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস এবং উত্তরে আতিকুল ইসলাম দাবি করেছেন, তাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তাপস সংসদ সদস্যের পদ ছেড়ে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়েরও পছন্দের প্রার্থী তাপস। সদ্য সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে বাদ দিয়ে তাপসকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় আওয়ামী লীগ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উচ্চশিক্ষিত ইশরাক হোসেন। বয়সে তরুণ হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে ইশরাক ইতোমধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছেন এ প্রকৌশলী। তার সাহসিকতার প্রশংসা করছেন অনেকেই। দক্ষিণ সিটিতে তার বাবা অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত থাকায়, সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে নির্বাচনে জেতার জন্য মরিয়া ইশরাক। নির্বাচনের মাঠে নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মী বাদেও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের উষ্ণ আতিথেয়তা পাচ্ছেন তিনি।

অন্য দিকে উত্তর সিটিতে ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক ব্যবসায়ী ও তরুণ রাজনীতিবিদ তাবিথ আউয়াল। আতিকুলের প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে আনিসুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। ওই নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলেও কয়েক ঘণ্টার ভোটে তাবিথ তিন লাখের মতো ভোট পান। তাই অনেকের ধারণা ভোটের মাঠে এবার আতিকুলের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল।

আতিকের গান ফেসবুকে ভাইরাল

এদিকে কয়েক দিন আগে ‘দারুণ তাল তুলে’ আতিকুল ইসলামের গান গাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে করে তার ফুরফুরে মেজাজের একটি পরিচয় পাওয়া গেছে। যদিও ডেঙ্গু মোকাবেলায় তার ব্যর্থতা সাধারণ ভোটারদের মাঝে নেতিবাচক ইমেজ রয়েছে তার। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর তার বাকি সময়ের জন্য আতিকুল ইসলাম মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন এক বছর। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকাকে আরো আধুনিক ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার।

SHARE