কক্সবাজারের টেকনাফে গ্রেপ্তার হওয়া এক রোহিঙ্গা দম্পতি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দাবি, নিহতরা ডাকাত দলের সদস্য।
রোববার ভোরে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাদের হোসেনের ছেলে দিল মোহাম্মদ এবং তার স্ত্রী জাহেদা বেগম।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “তারা দুজনই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক চোরাচালানসহ নানা অপরাধে তারা জড়িত। এসব অভিযোগে একাধিক মামলায় তারা পলাতক ছিল।”
ওই মামলায় শনিবার রাতে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে দিল মোহাম্মদ ও তার স্ত্রী জাহেদা বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে ‘তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে’ মোহাম্মদ শফিউল্লাহ নামে আরেক ‘ডাকাত সদস্যকে’ ধরতে এবং অস্ত্র উদ্ধারে ওই দম্পতিকে নিয়ে ভোরের দিকে লেদা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশের একটি দল।
প্রদীপ কুমার দাশ দাবি করেন, “পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানো মাত্র ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও তখন আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে দিল মোহাম্মদ ও জাহেদা বেগমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
গুলিবিদ্ধ ওই দম্পতিকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি প্রদীপ।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুটি দেশি বন্দুক ও ১১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ অভিযানে টেকনাফ থানার এসআই নিজাম উদ্দিন, কনস্টেবল সুদর্শন দাশ ও শাহাদাত হোসেনও আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।