রূপান্তর ডেস্ক: চীনের বিভীষিকাময় সেই ভাইরাসের নাম করোনা ভাইরাস কেন? এ নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কৌতুহলী পাঠকদের জন্য এ নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হলো-
সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (মার্স) পর এবার নতুন করোনাভাইরাস আতঙ্কিত করে তুলেছে বিশ্বকে। ২০১৯-এনসিওভি ভাইরাসটি করোনাভাইরাস পরিবারেরই। কিন্তু এর নাম করোনাভাইরাস কেন রাখা হলো?
গ্রাচীন গ্রিক শব্দ করোন (পুষ্পমাল্য বা পুষ্পমুকুট) থেকে সপ্তদশ শতকের দিকে লাতিনে আসে করোনা শব্দটি। সূর্যের চারপাশে উজ্জ্বল যে আলোর বলয় (সাধারণভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময়ই কেবল দেখা যায়) রয়েছে, তা ওই মুকুটের মত দেখায় বলে জ্যোতির্বিদরা একেও করোনা বলেন।
আবার ড্যাফোডিলের পাপড়ি বেষ্টনের মাঝে যে অংশটি ট্রাম্পেটের মত বেরিয়ে থাকে, সেটাকেও উদ্ভিদবিজ্ঞানে করোনা বলে।
ইলেকট্রন অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখলে করোনাভাইরাস পরিবারের সব সদস্যের মূল কাঠামো ঘিরে সেইরকম ট্রাম্পেট বা ফানেলের মত অসংখ্য কাঁটা দেখা যায়, যেন রাজমুকুটের উপর থরে থরে সাজানো দণ্ড।
আর এ সব মিলেই এর নাম হয়েছে করোনাভাইরাস, যার সন্ধান মেলে ১৯৩০ এর দশকে।
বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল সায়েন্সডাইরেক্ট ডটকমে ২০১২ সালের এক নিবন্ধে বলা হয়, মুরগির ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন‘ দেখা দিলে জানা যায় ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস (আইবিভি) এর মূল কারণ। আর মানুষের দেহে প্রথমবারের মত করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায় ষাটের দশকে।