চিকিৎসা ও কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশিরা এত ভারতে যায় কেন?

কথায় কথায় আমরা ভারতের নানা সমালোচনা করি, কিন্তু ভারতের ওপর আমরা অনেক বিষয়ে এখনো মুখাপেক্ষী সেটা দৃশ্যমান। সেটা নিয়ে আমাদের কোনো লজ্জা শরম নেই। গত বছর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পর বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে আগুন লাগে, তারপর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক সময় কোরবানির গরুর জন্য আমরা ভারতের মুখাপেক্ষী ছিলাম। সেই নির্ভরতা গত ক’বছরে কাটিয়ে উঠছি। ভারতীয় গরু কোরবানির জন্য মানুষ কিনতে চায় না এখন। এমনকি ভারতীয় পেঁয়াজও বাংলাদেশিদের পছন্দ নয়, তাদের পছন্দ দেশি পেঁয়াজ। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।

ভারতীয়দের আরেক খোঁটার বিষয় বাংলাদেশিদের ভারতে চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া। বিদেশি ভ্রমণকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা যেমন ভারতে প্রথম স্থান দখল করে আছে, তেমনি চিকিৎসার জন্য বিদেশি হিসেবে ভারতে শীর্ষস্থানে বাংলাদেশিরাই। লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রতিবছর সেখানে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। বিশেষ করে তামিলনাড়ুর ভেলোর, মাদ্রাজ; তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ; কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোর এবং পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় তারা চিকিৎসার জন্য ছোটেন। ভিসা জটিলতা কমে যাওয়ায় অনেকে এখন অল্পস্বল্প রোগের জন্যও শিলিগুড়ি কিংবা আগরতলায় চলে যান ডাক্তার দেখাতে। এই কারণটি বের করতে না পারলে কেন ভারতে যায়, সেই কথা বলে বা সেই ধরনের বিলাপ করে তাদের ভারতে যাওয়া ঠেকানো যাবে না। কেন তারা ঝাঁকের কৈয়ের মতো ভারতে যাচ্ছেন? এই রিপোর্টটি সকলকেই সিরিয়াসলি বিবেচনা করতে হবে।

এক

ঈদ শপিং উপলক্ষে লাখ লাখ বাংলাদেশির ভারত গমন সম্পর্কে ঈদের আগে এক মহিলা ক্রেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় যে, ঢাকায় যে শাড়িটি ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটি কলকাতায় তিনি ১১ হাজার টাকায় কিনেছেন। অনেক ক্রেতা বলেন যে, ঢাকায় তুলনামূলকভাবে উচ্চ মূল্য ছাড়াও ঢাকায় সেলস ম্যানদের ব্যবহারও ভাল নয়। ঢাকায় কোনো ভাল বিপণী বিতানে গিয়ে কয়েকটি শাড়ি দেখার পর ক্রেতা যদি কোনো শাড়ি না ক্রয় করেন তাহলে সেলসম্যান ঐ কাস্টমারকে কটাক্ষ করেন। কিন্তু কলকাতায় ৫০০ টাকায় শাড়ি কিনতে গিয়ে যদি দু একটি শাড়ি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে সেলসম্যান আপনাকে তার দোকান থেকে অন্তত ৫০টি শাড়ি দেখাবে। এসবই করবে সে হাসিমুখে। তারপরেও যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে ঐ সেলসম্যান আপনাকে হাসিমুখে বলবে, আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারলাম না বলে আমরা দুঃখিত। এই রকম ব্যবহার কি আপনি ঢাকার কোনো বিপণী বিতানে পাবেন? অনেক কাস্টমার এ প্রশ্ন করেছেন।

কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় গিয়েছেন এমন অনেক ক্রেতার জানান, বাংলাদেশের বাজার মূল্য হিসাব করে অনেকে বাজেট করে কলকাতা গেছেন। কিন্তু সেখানে কেনাকাটা সারার পরেও অনেকের হাতে কিছু উদ্বৃত্ত টাকা থেকেছে। কারণটি হলো, তারা যে বাজেট নিয়ে ইন্ডিয়া গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে দেখেন যে, বাস্তবে জিনিসপত্রের দাম তার বাজেটের চেয়ে কম। তখন অনেকে এই উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন বা ডাক্তার দেখিয়েছেন।

দুই
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, শুধুমাত্র কেনাকাটার জন্যই নয়, লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া যাচ্ছেন। তারা শুধু কলকাতায়ই যাচ্ছেন না, চিকিৎসার জন্য তারা দিল্লি, মাদ্রাজ এবং ক্ষেত্র বিশেষে হায়দ্রারবাদ যান। একটি জরিপে দেখা যায় যে, ভারতগামী বাংলাদেশিদের সিংহভাগই যান ভ্রমণ ভিসা নিয়ে। তারা রথও দেখেন, কলাও বেচেন। তারা শপিং করেন, চিকিৎসা করেন এবং ভ্রমণ করেন। চিকিৎসার জন্য দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ইন্ডিয়া যাচ্ছেন। কেউ বাসে, কেউ ট্রেনে এবং কেউ বিমানে। যার যেমন সামর্থ্য।

ট্যুরিজম বা ভ্রমণের কথা না হয় বাদ দিলাম। কিন্তু চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার বা লাখ লাখ মানুষ ইন্ডিয়া যাচ্ছেন কেন? এ সম্পর্কে ভাল করে খোঁজখবর নিলে যে চিত্র বেরিয়ে আসে সেটি মোটেই সুখকর নয়। শুধুমাত্র নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে অনুসন্ধান করে এই চিত্র পাওয়া গেছে তা নয়। হাজার হাজার কেসের মধ্যে মাত্র দু’ একটি উল্লেখ করছি।

আমার এক আত্মীয়া দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে ভুগছে। ঢাকার নামি চিকিৎসক জবাব দেন যে, তাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে। তিনি কলকাতা যান। সেখানে বলে যে ডায়ালাইসিসের কোনো প্রয়োজন নেই। ওষুধ খেলে অনেক খানি সেরে যাবে। ফিরে এসে সেই মোতাবেক ওষুধ খায়। দু’ বছর হয়ে গেল। সে ডায়ালাইসিস করেনি। সে ভালই আছে।

আরেকটি কেস বলছি। আমার এক আত্মীয় একই অসুখে বেশ সাফার করছিল। ঢাকায় তাকে একটি নাম করা হাসপাতাল থেকে বলা হলো যে, তার কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত নিল যে, সে ঢাকায় এই কাজটি করবে না। কলকাতায় করবে। সে কলকাতা যায় এবং ডোনারও সঙ্গে নিয়ে যায়। কলকাতায় সে যে হাসপাতালে যায় সেটির নাম বাংলাদেশের অনেকেই জানেন। সেই হাসপাতাল থেকে তাকে বলা হলো যে, এই মুহূর্তে ট্রান্সপ্লান্টেশনের কোনো প্রয়োজন নেই। যে ওষুধগুলো দেয়া হচ্ছে সে ওষুধগুলো খেয়ে দেখেন কি হয়। ৬ মাস পরে আসুন এবং চেক আপ করুন। এর পর দেড় বছর পার হয়ে গেছে। সে ঐসব ওষুধ খেয়েছে এবং মোটামুটি সুস্থ আছে। এর মধ্যে সে তিনবার কলকাতা গেছে এবং চেক আপ করিয়ে এসেছে।

এখন প্রিয় পাঠক এবং দেশবাসী বলুন, আমাদের যতই দেশপ্রেম থাক না কেন, এমন একটি পরিস্থিতি এবং পটভূমিতে দেশে চিকিৎসা করে সে কি কিডনি হারাবে? ডায়ালাইসিস করে সে কি প্রতিবার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা গুণবে? একটি লোক বিনা কারণে তার একটি কিডনি হারাবে? এমন ক্ষেত্রে বিদেশে চিকিৎসা করানো ছাড়া তার আর কোনো উপায় আছে কি? অথচ, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। অনেক আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঐসব হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা করানো হচ্ছে এবং চিকিৎসা করছেন অনেক নামকরা ডাক্তার বা সার্জন। বাংলাদেশে মেডিসিন, কার্ডিওলজি, চক্ষু, দন্ত প্রভৃতিতে একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন। কিন্তু সংখ্যায় তারা অত্যন্ত নগণ্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন মেডিসিন ও গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজির বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে জানি। এদের ফি ১২০০ টাকা। দৈনিক ৭০-৮০ জন রোগী দেখেন। সিরিয়াল পেতে লম্বা লাইন লাগাতে হয় এবং অনেক বিলম্ব হয়। আমি তাদের দুজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ৬০-৭০ জন রোগী দেখে তাদের সকলের ওপর কি জাস্টিস করতে পারেন? তারা উত্তরে বলেছিলেন ৩০ জন রোগী দেখার পর ব্রেন এলোমেলো হয়ে যায়। তারপর ভুলভাল হতেই পারে। কিন্তু কি করবো? পেসেন্টের অনেক চাপ।

তিন
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় অত্যন্ত বেশি। ডাক্তারের ফি এবং ওষুধপত্রের খরচ তো আছেই। এ্যাপোলো, ইউনাইটেড, ল্যাব এইড প্রভৃতি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৭ দিন থাকলে দেড় লাখ টাকার কমে বেরিয়ে আসা যায় না। আর যদি সার্জারি বা অপারেশন থাকে তাহলে আরো দুই লাখ টাকা। মোট আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা। অথচ, কলকাতা গিয়ে একই চিকিৎসা দেড় লাখ টাকার মধ্যে সেরে দেশে ফেরা যায়।

আরেকটি অপ্রীতিকর দিক না বললেই নয়। আমার দুজন আত্মীয়ের কথা বলছি। তারা ঢাকায় গ্যাস ও ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের কাছে যান। ডাক্তার সাহেব তাকে দেখে বলেন, আপনাকে এখনই এন্ডোস্কপি করতে হবে। খরচ পড়বে ১৭ হাজার টাকা। বেরিয়ে এসে আমরা বললাম, দেখি না, এন্ডোস্কপি এখন না করলে কি হয়। তারা এন্ডোস্কপি করেন নি। দেড় বছর হয়ে গেছে। কোনো সমস্য হয়নি। ২য় জন কলকাতা গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে বলা হয়েছে এন্ডোস্কপির প্রয়োজন নেই। তিনি ভালই আছেন।

প্রিয় পাঠক ভাইয়েরা, আমার এই লেখার অনেক রকম ব্যাখ্যা অনেকেই করতে পারেন। অনেকে ভুলও বুঝতে পারেন। কিন্তু আমার বক্তব্য হলো, বাংলাদেশে মেধাবী ডাক্তার আছেন। ভাল ভাল হাসপাতালও রয়েছে। এই ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা এখন প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ। সেই তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হাতেগোনা যায়। আমাদের কারো দেশপ্রেমিকতার অভাব নেই। চিকিৎসা ব্যয় কমাতে হবে। কমানো যে সম্ভব, সেটি তো প্রমাণ হয়ে গেছে হার্টের স্টেন্টিংয়ের জন্য যে রিং বসানো হয় তার দাম ৪ ভাগের একভাগ কমানোতে। ১ লাখ টাকার রিং সরকার ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। চিন্তা করুন, এরা ৪ গুণ মুনাফা করছে। এখন তারা সরকারের বেধে দেয়া দামে রিং বিক্রি করতে গাঁইগুই করছে। ঢাকার একটি হাসপাতাল আছে যেখানে ডায়ালাইসিস করতে মাত্র দেড় হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ, একটু বড় হাসপাতালে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।

যতদিন মুনাফার উদগ্র লালসা না কমবে, যতদিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে মানবিকতার সৃষ্টি না হবে, ততদিন খাঁটি বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও মানুষ ইন্ডিয়ায় কেনাকাটা এবং চিকিৎসার জন্য যেতে বাধ্য হবে।

চার

আলাউদ্দিন আল আজাদ নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সম্প্রতি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ২০০০ সাল থেকে আমি পায়ের গোড়ালির ব্যথায় প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছিলাম। বাঘা বাঘা ৩/৪ জন অর্থোপেডিক ডাক্তার দেখিয়ে কোন ফল পাইনি। শুধু পেইন কিলার দেয়। পেইন কিলার খেতে খেতে কিডনি যায় যায় অবস্থা। এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম ভারত যাওয়ার। আমিতো এমনিতেই প্রতি বছর ভারত ভ্রমণে যাই, তাই ভ্রমন আর চিকিৎসা দুটোই হবে মনে করে ২০০৬ সালের মার্চের দিকে চলে গেলাম ভেলোরের সিএমসি হাসপাতাল। এই হাসপাতালের খরচ খুব কম বলে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীর আগমন ঘটে। কলকাতা থেকে করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেন যোগে চেন্নাই তারপর লোকাল ট্রেনে ভেলোর পৌঁছলাম সকাল ১০ টার দিকে। হাসপাতালের গেটে যেতেই দেখি শত শত রোগী স্রোতের মতো হাসপাতালে ঢুকছে। আমি ভিতরে গিয়ে রিসেপশন ডেস্কের সামনে দাঁড়াতেই লাস্যময়ী এক তরুণী হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো, What’s your problem? বলা বাহুল্য তার মায়াভরা দরদী কন্ঠের এই কথা শুনেই যেন আমার রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে গেল। আমি বললাম, দুপায়ের গোড়ালীতে ব্যথা। সাথে সাথে আমার নামধাম, বয়স জেনে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললো, Please go to orthopedic Department.
আমি অরথোপেডিক বিভাগে গিয়ে স্লিপটা দিতেই বললো বসুন আপনার নাম ডাকবে। একটু পরেই ডাক আসলো। একজন মধ্য বয়সী ডাক্তার। নাম ডেভিড এস কেনিথ। আমার সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে সেদিনের মতো বিদায় করে দিলেন। এবার পরীক্ষার পালা। কিন্তু পরীক্ষা করতে এসে দেখি প্রচন্ড ভীড়। কিন্তু তা হলে কি হবে। এত নিয়ম শৃঙ্খলা যে যতই ভীড় হোক নিয়ম অনুযায়ী সিরিয়ালি নাম আসবে। সব পরীক্ষা নিরীক্ষা করালাম। উল্লেখ সিএমসি হাসপাতালে রিপোর্ট রোগীর হাতে দেয়া হয়না, এমনকি কোন প্রেসক্রিপশন দেয়া হয়না। পরীক্ষার রেজাল্ট অনলাইনে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের কম্পিউটারে চলে যায়। আর প্রত্যেক রোগীকে একটা রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেয়া হয়।
পরের দিন আবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম। ডাক্তার আমাকে জানালেন আপনার সমস্যার স্হায়ী সমাধান করতে হলে ছোট একটা অপারেশন লাগবে। আমি বললাম আমার সাথে কেউ আসেনি, কিভাবে অপারেশন করাব। তিনি বললেন, কোন সমস্যা নাই, অপারেশনের পর আপনার জন্য ফুলটাইম নার্স দেয়া যাবে। তারপরও আমি অপারেশন করাতে চাইলামনা। বললাম আপাতত অন্য চিকিৎসা দিন, প্রয়োজনে পরে আবার আসব। তখন ডাক্তার আমাকে কিছু ট্যাবলেট দিলেন, পায়ের কিছু ব্যায়াম শিখিয়ে দিলেন আর বললেন একটা ইনজেকশন দিতে হবে গোড়ালিতে। আরো বললেন এখনই ফার্মেসী থেকে ইনজেকশন, সিরিঞ্জ নিয়ে আসেন। আমি তৎক্ষনাত ইনজেকশন নিয়ে আসলাম। খুব মোটা সুই। সিরিঞ্জে ভরে পায়ের গোড়ালি বরাবর সুই ঢুকিয়ে দিলেন একবারে হাড় পর্যন্ত। তারপর বললেন, আশা করি ভালো থাকবেন। আর কোন সমস্যা হলে আমাকে মেইল করবেন।
বলা বাহুল্য, এই চিকিৎসার পরে আমি একটানা ১৪ বছর সম্পূর্ণ ভালো ছিলাম। ইদানিং আবার ব্যথাটা বেড়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই আবার পায়ের এবং অন্যান্য চিকিৎসার জন্য ভারতে যাব। উল্লেখ্য এই চিকিৎসা ভারত ছাড়া অন্য কোন দেশে করলে ১০ গুন বেশি খরচ হতো।

SHARE