রূপান্তর রিপোর্ট: রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সমাবেশে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গুলশানের শহীদ ফজলে রাব্বি পার্কের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। সমাবেশস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
ওই দুই প্রার্থী হলেন- ঢাকা উত্তর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নাসির ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জাহিদুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পার্কের ভেতরে আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী সমাবেশ চলছিল। এ সময় সেখানে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুর রহমান কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসেন। এর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নাসিরের কর্মী-সমর্থক ও জাহিদুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা একে অপরের দিকে তেড়ে যায়। দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি।
এ সময় পার্কের মাঠে তৈরি মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন আতিকুল ইসলাম। মঞ্চে তার ভাই মাইনুল ইসলাম, তিন বোন আমেনা, হালিমা, রহিমা, আতিকুলের স্ত্রী শায়লা সাগুফতা, মেয়ে বুশরা আফরীন, বোনের স্বামী ও সন্তানের উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুলের বক্তব্য শেষে সমাবেশের উত্তেজনার একপর্যায়ে তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।
আতিকুল ইসলামও মঞ্চ ছেড়ে দেন। পরে দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, ধাক্কাধাক্কি এবং চেয়ার দিয়ে পেটানোর ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, পার্কের ভেতর কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন বলেও জানান।
নির্বাচনী প্রচারের একদিন বাকি থাকতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সংঘর্ষের ঘটনায় ভোটের দিন কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নে আতিকুল বলেন, পরিবারে ভাই ভাই বা বোনের মধ্যেও তর্কবিতর্ক হয়। এটি ঠিক হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২৯ ডিসেম্বর ২০নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ থেকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমানকে সমর্থন দেয়া হয়। এর পর নানা নাটকীয়তায় এ ওয়ার্ডে তাকে বাদ দিয়ে সমর্থন দেয়া হয় বর্তমান কাউন্সিলর মো. নাসিরকে। এর পর থেকে দুই প্রার্থীর মধ্যে টানা উত্তেজনা বিরাজ করছে।