করোনা মোকাবিলায় ১৮ দফা নির্দেশনা সরকারের

ফাইল ছবি

কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১৪ দিনের জন্য ১৮টি জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/ শিল্প কারখানায় পরিচালনা করতে হবে অর্ধেক জনবল দিয়ে। গর্ভবতী/ অসুস্থ/ ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের বাড়িতে থেকে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সারাদেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়সহ সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করা হয়েছে। বিয়ে, খেলাধুলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
গণপরিবহনে বর্তমানে যে যাত্রী চলাচল করছে তার অর্ধেকের বেশি পরিবহন করা যাবে না। অর্থাৎ ধারনক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণে চলতে হবে।
সংক্রমণের উচ্চ ঝুকির এলাকায় আন্ত:জেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্চ সংক্রমণ যুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক, রাজনৈতিক, ও ধর্মীয় অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। মেলা আয়োজনে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রাত ১০টার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কল-কারখানা অর্ধেক (৫০ ভাগ) জনবল দিয়ে পরিচালিত করতে হবে।

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে (হোটেলে নিজ খরচে) থাকতে হবে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যু হয়। সম্প্রতি করোনায় সংক্রমণ বেড়েছে। মৃত্যুও বেড়েছে। এমতাবস্থায় ১৮ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

SHARE