রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরবফেরত নারীর ফেলে যাওয়া আট মাস বয়সী শিশু কন্যাটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে এখনও তাদের মায়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, শিশুটি ভালো আছে, কোনো সমস্যা নেই। তবে আরো কিছুদিন তাকে হাসপাতালে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, শিশুটি এখন পুলিশ পাহারায় আছে। হাসপাতালে সপ্তাহখানেক থাকার পর তারা সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
শুক্রবার সকালে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানবন্দর এপিবিএন শিশুটিকে উদ্ধার করে বিমানবন্দর থানার কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ফেলে যাওয়া শিশুটিকে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্য উদ্ধার করেন। পরে এপিবিএনের নারী সদস্যরা মেস থেকে দুধ এনে খাওয়ালে শিশুটির কান্না থামে।
শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল (আগমনী) টার্মিনাল থেকে ফেলে রাখা অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তার মা রাতে একটি ফ্লাইটে সৌদি থেকে দেশে আসেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ওই নারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় সৌদি আরব থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। ফ্লাইট অবতরণের পর তিনি ৫ নম্বর লাগেজ বেল্টের সামনে শিশুটিকে নিয়ে অবস্থান করেন। বাড়ি ফেরার জন্য রাতে গাড়ি পাবেন না, তাই সকাল পর্যন্ত সেখানেই অপেক্ষা করেন। সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ শিশুটিকে কান্না করা অবস্থায় রেখে তিনি লাগেজ নিয়ে পালিয়ে যান।
একই ফ্লাইটে ওই নারীর সঙ্গে আসা আরেক নারী জানান, শিশুটির মা সৌদি আরবে কাজের জন্য গিয়েছিল। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরেই এই সন্তানের জন্ম। তবে দেশে ফেরার আগেই তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্তানকে নিয়ে তিনি কোথায় যাবেন তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। ফ্লাইটে কান্নাকাটি করছিলেন ওই নারী।
বিমানবন্দর থানার এসআই শ্রীধম চন্দ্র রায় জানান, শিশুটির মা সৌদিফেরত ওই নারীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও ওই নারীর পাসপোর্ট পেলে তারা অনুসন্ধান করে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করবেন।