ইভিএমে সিইসির আঙুলের ছাপ মেলেনি, বিকল্প পদ্ধতিতে ভোট

উত্তরার একটি স্কুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ছবি : সংগৃহীত

রূপান্তর রিপোর্ট: ভোট দিতে গিয়ে এবার ইভিএম বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।  ভোট দিতে গেলে তাঁর আঙুলের ছাপ মেলেনি ইভিএম মেশিনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিইসি কে এম নুরুল হুদা ভোট দিতে গেলে তাঁর আঙুল স্ক্যান করা হয়। তবে তা মেশিনে মেলেনি। এরপর তিনি বিকল্প পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ভোট দেন।

শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীন উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের আইইএস মডেল স্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ ভোট নেওয়া হচ্ছে। দুই সিটিতেই এবার ইভিএম মেশিনে ভোট নেওয়া হচ্ছে।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। এ সময় ইভিএমে অনেকে ভোট দিতে পারছেন না—এমন অভিযোগের বিষয়ে সিইসিকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন।

জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার তিন-চারটি উপায় আছে। আইডি কার্ড দেখতে পারে, পুরোনো কার্ড দেখাতে পারে। নম্বর মেলালে ছবি আসবে, ভোট দিতে পারবে।

এদিকে বিতর্কিত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তার একটি ভোট নিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের আধা ঘণ্টা সময় লেগেছে।

ড. কামাল বিরক্ত হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইভিএম জটিল প্রক্রিয়া। আমারই সময় লেগেছে আধা ঘণ্টা। তাহলে বোঝেন, এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়া কী হবে।’

শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল কেন্দ্রে ভোটদান শেষে এ তথ্য জানান ড. কামাল হোসেন।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় পার হওয়ার পরও একশর কম ভোট পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা সন্তোষজনক নয়। এত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও এত কম ভোট মোটেও সন্তোষজনক নয়। এটার একটা কারণ ভোটদানের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা। ভোট ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা না থাকায় ভোটার উপস্থিত কম।’

SHARE