তাইয়্যিপ আহসান রাফান: ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতি অনুশীলনে সাড়া দেয়নি নগরবাসী। নানা আলোচিত ও সমালোচিত এ পদ্ধতি নিয়ে শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো সমালোচনামুখর ছিল।
নির্বাচন কমিশনের বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সব কেন্দ্রে ভোটিং মেশিন নিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তারা অপেক্ষা করলেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা কয়েকজন।
এমনকি এক নির্বাচন কমিশনার নিজেও এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মক ভোটিং (অনুশীলন) দেখতে গিয়ে মানুষের উপস্থিতি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, “আমি কর্মকর্তাদের সাথে নতুন ভোটারের মতো কথা বলেছি। একটা ইউনিটে তারা ১২টায় এসেছেন। ৩ ঘণ্টায় মাত্র ১ জনকে তারা শেখাতে পেরেছেন, ১ জনের মাত্র ভোট নিয়েছেন। এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
দুই সিটি করপোরেশনের অন্তত ৩৫টি কেন্দ্রে ঘুরে সাংবাদিকরা কোনো ইতিবাচক সংবাদ পাননি।
তবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের দাবি, হয়তো অনেকে মক ভোট দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মাত্র দুইজন মক ভোট দিয়েছেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “স্কুলে সরস্বতী পূজা চলছে, আমরা দুপুর ১২টায় এসে পূজার মাইকে মক ভোট নেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা করি। এরপর এক পরিবারের চারজন এসেছিলেন, তাদের মধ্যে দুইজন ভোট দিয়েছেন।”
কেন্দ্রে মক ভোট দেওয়ার বিষয়ে ভোটার কোনো অনাগ্রহ আছে কিনা, প্রশ্ন করা হলে প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, “কাকরাইলে এ কেন্দ্রটি একটি কমার্শিয়াল এলাকার মধ্যে পড়েছে, ভোটাদের অধিকাংশ শিক্ষিত, যে কারণে তারা বইপত্র পড়েই ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে জেনে গেছেন। হয়ত সে কারণে কেন্দ্রে আসছেন না।”