নারী-পুরুষের বিয়ে আল্লাহ তাআলার এক মহান নেয়ামত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। পরিপূর্ণ ঈমানের অন্যতম আলামত। চারিত্রিক আত্মরক্ষা ও উন্নতির অন্যতম উপায়। আদর্শ পরিবার গঠন ও যুবক-যুবতীর চরিত্র গঠনের অনুপম হাতিয়ারও এ বিয়ে।
বিয়ের বয়স হলে প্রত্যেক নারী-পুরুষই তার জীবনসঙ্গী কেমন হবে তা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। বাংলাদেশে এখনও বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ে পরিবারের পছন্দের পাত্র বা পাত্রীকে বিয়ে করেন।
তবে বর্তমান প্রজন্মের অনেক যুবক-যুবতী পরিবারের পছন্দের ছেলেমেয়ের পরিবর্তে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করতে বেশি পছন্দ করেন।
জেনে নিন কোন কোন কারণে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং দম্পতিরা অনেক বেশি সুখী হন-
> অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ পরিবারের প্রত্যেকের মতামত নিয়ে হয়। এ বিয়ের ফলে দুটো পরিবারের মানুষ একসঙ্গে তাদের আবেগ অনুভূতি সুখ দুঃখ ভাগ করে নেন। পাত্র বা পাত্রীর মা-বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা একত্রিত হয়ে একজন নারী বা পুরুষের হাতে তুলে দেন তাদের বাড়ির মেয়ে বা ছেলেকে। এই বিয়েতে পাত্র বা পাত্রীর পরিবারের সমস্ত সদস্যের সঙ্গে আলাদা একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
> অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে সময় অনেকটা সাশ্রয় হয়, প্রেম করে নিজে যাচাই করে জীবনসঙ্গী বাছাই করতে যে সময় লাগবে তা এই ধরনের বিয়েতে লাগে না।
> প্রেমের বিয়ের তুলনায় পরিবারের পছন্দের বিয়ে বেশি সামাজিক স্বীকৃতি পায়। এই বিয়েতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সমাজও পাশে দাঁড়ায়।
> অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে পাত্র-পাত্রী একে অপরের সঙ্গে বিয়ের আগে খুব কমই পরিচিত থাকে। একে অপরের সম্পর্কে কম জানেন। তাই আপনার জীবনে যদি কোনো ভয়ঙ্কর অতীত থেকেও থাকে, তাহলে তা আপনার বিবাহিত জীবনে প্রভাব ফেলে না। আপনি নতুন জীবন শুরু করতে পারেন।
> পাত্রীর বাড়ি থেকে যখন পাত্র নির্বাচন করা হয়, তখন পাত্রীর অভিভাবকেরা সবসময় সেরা পাত্রই নির্বাচন করেন। (ব্যতিক্রম থাকতে পারে।) সেক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি সম্মানও বেশি থাকে।
> অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রী একে অপরের নয়, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের কথা চিন্তা করতে হয়।
> যেহেতু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে পাত্র-পাত্রী একে অপরের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না, সেক্ষেত্রে তাদের কাছে একে অপরকে চেনা জানার সুযোগ থাকে। এতে সম্পর্ক আরও ভালো হয়। এবং সঙ্গীকে রোজ রোজ নতুন নতুন ভাবে জানা যায়।
> অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ বেশি তৈরি হয়। অনেক কিছুর মিল না থাকলেও দুজনেই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে ক্ষেত্রে দুই পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড, সামাজিক অবস্থান বিচার করেই বিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। সেখানে দুটি হৃদয়ের মিলনের চেয়েও বিয়ে দুটি পরিবারের কাছে একটা উৎসবের চেহারা ধারণ করে। এই বিয়েতে পরিবারের লোকেরা অনেক দায়িত্ব নিয়ে থাকেন।
> যেহেতু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে পাত্র-পাত্রী একে অপরের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানেন না, তাদের কাছে একে অপরকে জানার ইচ্ছে থাকে। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।